গ্রামীণফোনের ২.৩ কোটি গ্রাহকের পুনরায় নিবন্ধন সম্পন্ন
২০১৬)গ্রামীণফোনের গ্রাহকদের মধ্যে ২কোটির ৩২ লক্ষ বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন পদ্ধতিতে তাদের পুনরায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এরা প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহকের ৪১%।
এবছরের জানুয়ারি মাসে সরকার মোবাইল গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনরায় নিবন্ধন করার উদ্যোগে নেয়। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং আঙ্গুলের ছাপ নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে রক্ষিত তথ্যের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়।
গ্রামীণফোনে চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন," নিজে থেকেই পুনরায় নিবন্ধনের জন্য এগিয়ে আসায় আমি সম্মানিত গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। চ্যানেল পার্টনারগণও এই বিরাট উদ্যোগ বাস্তবায়নে খুবই ভালোভাবে সহায়তা করছেন।"
মোবাইল অপারেটদের আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করার বিষয়ে সম্প্রতি যে আশংকা সৃষ্ট হয়েছে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে গ্রামীণফোন জানায় যে প্রতিষ্ঠানটি তার ডাটাবেস এ কোন আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষণ করে না। আঙ্গুলের ছাপের তথ্য একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে পাঠয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভেরিফিকেশন করা হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে গ্রামীণফোন শুধু হ্যা/না বার্তা পায়। এখানে উল্লেখ্য যে ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংগৃহীত আঙ্গুলের ছাপের সাথে মিলিয়ে দেখার জন্যই গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হয়।
যেসব গ্রাহক এখনো সিম নিবন্ধন করেননি গ্রামীণফোন তাদেরকে নিশ্চিন্তে সিম পুনরায় নিবন্ধনের জন্য আহবান জানাচ্ছে। নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সকল সিম পুনরায় নিবন্ধন করতে হবে। সারাদেশে গ্রামীণফোনের ৪৩,০০০ বায়োমেট্রিক পয়েন্ট থেকে পুনরায় নিবন্ধন করা যাবে। এর জন্য গ্রাহকদের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং যে সিমটি নিবন্ধন করা হবে তা সাথে আনতে হবে।
©2024 গ্রামীণফোন লিমিটেড টেলিনর গ্রুপের সদস্য