‘কাস্টমার ফার্স্ট ডে’ উদযাপন করলো গ্রামীণফোন

Sep 29, 2016

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেটের অঙ্গীকার

আজ রাজধানীর ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজে (ডিআরএমসি) ৭শ’র বেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে ‘কাস্টমার ফার্স্ট ডে’ উদযাপন করলো গ্রামীণফোন। 

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের লক্ষ্যে এবং নিরাপদ ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করতে অনুষ্ঠানটি বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত রেসিডেনশিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আবদুল হান্নান।

অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী এ উদ্যোগটাকে একটি সময়োপোযোগী উদ্যোগ বলে উল্লখ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘এটা নির্ভয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ইন্টারনেটের পূর্ণ সম্ভাবনা ব্যবহারে সহায়তা করবে।’

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি তার বক্তব্যে বলেন, ‘পরবর্তী পাঁচ বছরে এশিয়াতে  টেলিনরের বাজারের বড় সম্প্রসারণ ঘটবে। আর তরুণরাই হবে ডাটাকেন্দ্রিক টেলিকম খাতের মূল গ্রাহক। এ বাজারে প্রথমবারের মতো প্রায় ৫০ কোটি তরুণের কাছে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে এবং তারা অনলাইনে কিভাবে নিরাপদে থাকেবে এ নিয়ে তাদের শিক্ষিত করে তোলাই টেলিনরের অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমানে বাংলাদেশে সাইবার বুলিংয়ের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমাদের দেশে এ সমস্যা সমাধানে এটি একটি সময়োপযোগী আহ্বান। শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিজিটাল সময়ে তরুণদের সুসজ্জিত করে তোলা এবং ইন্টারনেটের অপব্যবহার সম্পর্কে তাদের শিক্ষাদান আমাদের দায়িত্ব।’

টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে এমন ১৩টি দেশে একযোগে ‘কাস্টমার ফার্স্ট ডে’ উদযাপিত হয়েছে।  ‘কাস্টমার ফার্স্ট ডে’ উদ্যোগটি গ্রামীণফোনের কর্মী ও ম্যানেজমেন্ট টিমকে সরাসরি গ্রাহকদের সাথে কথা বলার ও তাদেরকে নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে জানানো এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে অঙ্গীকার করার সুযোগ করে দেয়। এছাড়াও, গ্রামীণফোন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনলাইনে সুরক্ষিত রাখতে চায় এবং শেখার উৎস হিসেবে ডিজিটাল মাধ্যমের শক্তিকে তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চায়।

বৈশ্বিকভাবেই এ বছর কাস্টমার ফার্স্ট ডে’র প্রতিপাদ্য ছিলো ‘নিরাপদ ইন্টারনেট/ডিজিটাল বুলিং’। দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে, ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রাহকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে ‘কাস্টমার ফার্স্ট ডে’ উদ্যোগটিতে ডিজিটাল বুলিং-এর ওপর সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়।

অনুষ্ঠান চলাকালে ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহারের নিয়ম অনুসরণ করা এবং দায়িত্বের সাথে ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে শপথ গ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানে সরকারি ও নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসমূহ এবং গ্রামীণফোন ও ঢাকা রেসিডেনশিয়াল মডেল কলেজের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আজ সকালে গ্রামীণফোনের শত শত কর্মী দেশজুড়ে এর করপোরেট গ্রাহকদের কাছে নিরাপদ ইন্টারনেটের বার্তা পৌঁছে দিতে দেখা করেন। তারা গ্রাহকদের কিছু নিয়ম ও অনুশীলন সম্পর্কে অবহিত করেন যা তাদের ও তাদের সন্তানদের ইন্টারনেটে নিরাপদে থাকতে সাহায্য করবে এবং ইন্টারনেটে ব্যবহারের সময় গ্রাহকরা কি করবেন এবং কি করবেন না এ সম্পর্কে লিফলেটও বিতরণ করেন।

মানুষের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। সরাসরি গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ এবং তাদেরকে উন্নত সেবা ও সামাজিক ক্ষমতায়নের প্রতি গ্রামীণফোনের অঙ্গীকার সম্পর্কে সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম একটি উদ্যোগ হচ্ছে ‘কাস্টমার ফার্স্ট ডে’। 


Back
Next

এই পেজ টি আপনার বন্ধু ও পরিবারের সাথে শেয়ার করুন

Follow Us

MyGP App

©2024 গ্রামীণফোন লিমিটেড টেলিনর গ্রুপের সদস্য

সাইট নির্দেশিকা